প্রতিষ্ঠার ৯ বছরে প্রোটেক্টিভ লাইফে ৮২ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ
প্রতিষ্ঠার ৯ বছরে প্রায় ৮২ কোটি টাকার বীমা দাবি পরিশোধ করেছে চতুর্থ প্রজন্মের বীমা প্রতিষ্ঠান প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড। কোম্পানিটির বীমা দাবি পরিশোধের হার ৯১.২৫ শতাংশ। প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে ২০১৩ সালের আগস্টে। স্বাস্থ্য সেবাকে মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছে কোম্পানিটি। এরইমধ্যে প্রায় ৩ কোটি গ্রাহক কোম্পানিটির স্বাস্থ্য বীমার সেবা গ্রহণ করেছে।
২০২১ সালে সর্বোচ্চ বীমা দাবি পরিশোধ করে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ, ২৯.৮৩ কোটি টাকা। সে বছর ৩৩.০৩ কোটি টাকা বীমা দাবি উত্থাপন হয় কোম্পানিটিতে। ২০২১ সালে কোম্পানিটির বীমা দাবি নিষ্পত্তির হার ৯০.৩১ শতাংশ।
সর্বশেষ হিসাব বছর ২০২২ সালে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের বীমা দাবি পরিশোধের হার ৯৪.৫০ শতাংশ। আলোচ্য বছরে উত্থাপিত ২৫.৪৪ কোটি টাকা বীমা দাবির মধ্যে কোম্পানিটি পরিশোধ করে ২৪.০৪ কোটি টাকা।
এর আগে ২০২০ সালে ৯০.৬২%, ২০১৯ সালে ৯১.৫২%, ২০১৮ সালে ৭৪.৮৯%, ২০১৭ সালে ৮৮.০৮%, ২০১৬ সালে ৯০.৬৩%, ২০১৫ সালে ১০০% এবং ২০১৪ সালে ১০০ % বীমা দাবি নিষ্পত্তি করে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স।
বর্তমানে প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফের একক বীমা গ্রাহক সংখ্যা ২৮ হাজার ২৯৭। প্রধান কার্যালয়ের বাইরে সারাদেশে ২৭টি শাখা অফিসের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করছে। কোম্পানিটিতে উন্নয়ন কর্মকর্তা ও কর্মীর সংখ্যা ৫ হাজার ৫১০ জন।
প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ২০১৯ সালে ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্স অ্যাওয়ার্ড-২০১৯ এ ‘মোস্ট ইনোভেটিভ মাইক্রো ইন্স্যুরার’ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার অর্জন করে। ২০২০ সালে কোম্পানিটি ‘কসমোপলিটান দ্যা ডেইলি’ থেকে ‘বেস্ট ব্যাংকাস্যুরেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ অর্জন করে। এছাড়াও ২০২০ সালে কোম্পানিটি এজেএ বাংলাদেশ লিমিটেডের তত্বাবধানে ‘আইএসও-৯০০১:২০১৫’ সনদ প্রাপ্ত হয়।
এ ছাড়াও দেশের মেগা প্রজেক্ট রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের রাশিয়ান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গত ৪ বছরে (২০১৯-২০২২) কোভিড এবং ডেঙ্গুর মতো মহমারীর সময়ে স্বাস্থ্যসেবা দিয়ে প্রায় ৪৪ কোটি টাকা বীমা দাবি পরিশোধ করে। এই বিপুল পরিমাণ বীমা দাবি পরিশোধ করায় 'বিশেষ প্রশংসাপত্র' দিয়েছে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মূল কোম্পানি এএসই রোসাটম।
কোম্পানিটির মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা (সিসি) ডা. কিশোর বিশ্বাস বলেন, দেশের বীমা অঙ্গনে সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী এবং ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পরিচালিত বীমা কোম্পানি প্রোটেক্টিভ ইসলামী লাইফ। শুরু থেকেই আমরা আমাদের কমিটমেন্ট রাখার চেষ্টা করে আসছি। যারা আমাদের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন তারা সবাই দেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতি এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। গ্রাহক সেবা এবং সঠিক কর্মী ব্যবস্থাপনার বিষয়ে তারা সর্বদা সজাগ।
ডা. কিশোর বিশ্বাস আরো বলেন, যথাসম্ভব সর্বোচ্চ সুযোগ প্রদানকারী এই বীমা প্রতিষ্ঠান দেশের সকল স্তরের মানুষকে বীমার আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত। ২০২৩ সালের মধ্যে আমরা আইপিওতে যাওয়ার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। সবশেষ গত ৩০ এপ্রিল আইপিওতে অন্তর্ভুক্তির জন্য আমরা নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে আবেদন জমা দিয়েছি।